Event

ঢাবি-এ ‘ইতিহাস পর্যালোচনা: তানভীর মোকাম্মেলের চলচ্চিত্রে ১৯৪৭-এর দেশভাগ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগ এবং সেন্টার ফর ইংলিশ টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ (সিইটিআর)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘ইতিহাস পর্যালোচনা: তানভীর মোকাম্মেলের চলচ্চিত্রে ১৯৪৭-এর দেশভাগ’ শীর্ষক এক সেমিনার আজ ৩১ মে ২০২২ মঙ্গলবার আরসি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সিইটিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য চলচ্চিত্রকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তানভীর মোকাম্মেল তাঁর চলচ্চিত্রে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের ইতিহাস নিয়ে অডিও-ভিজুয়্যাল উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করেন। ইংরেজী বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নেভিন ফরিদা স্বাগত বক্তব্য দেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বরেণ্য চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেল তাঁর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। এর মাধ্যমে নবীন শিক্ষার্থীরা নিজেদের জ্ঞানের জগতকে সমৃদ্ধ করতে পারবে। এধরণের আয়োজন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অ্যালামনাইদের যোগসূত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের কারণে বাঙালির মনে গভীর অবিশ্বাস ও অসন্তুষ্টির জন্ম নেয়। যার ফলে ভাষা আন্দোলনসহ নানা আন্দোলন সংগ্রাম সংঘটিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র পেয়েছি। তানভীর মোকাম্মেলের চলচ্চিত্রে এসব ঘটনাই উঠে এসেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপাচার্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, মানুষের জীবন-সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে  চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই এদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবন ও সংগ্রামের ইতিহাস জানতে পারে।
প্রথমবর্ষ স্নাতক(সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ইংরেজি বিভাগ এবং সেন্টার ফর ইংলিশ টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ (সিইটিআর) এই সেমিনার আয়োজন করে।